স্মরণমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘অগ্নিযুগের বিপ্লবী রাজনীতিক ছিলেন কমরেড অমল সেন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য অমল সেন কাজ করে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লবী এ নেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল তেভাগা আন্দোলন। নিচতলার মানুষদের ভিত রচনা করে দিয়েছিলেন তিনি। মহান এ নেতার জীবনকে অনুসরণ করে আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকারের আমলেই প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। বেড়েছে রিজার্ভ। পাশাপাশি কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। উৎপাদন বেড়েছে ফসলের।’
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় এসে নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। মাগুরায় ভোট ডাকাতি আর ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন করে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। তারা ফের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে জামায়াত-বিএনপি অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। আগামী নির্বাচন থেকে পালিয়ে যেতে তারা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমরেড অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি বিমল বিশ্বাস, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সিপিবি নেতা লায়েকুজ্জামানসহ অনেকে। স্মরণসভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনুসারীরা কমরেড অমল সেনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।