কালীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

ঝিনাইদহঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আদালতে একটি মাদক মামলার চার্জশিট দাখিল হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি হলেও বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) তা কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হাতে এসে পৌঁছায়।

ইউএনও উত্তম কুমার রায়, বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মাদক মামলার চার্জশিট দাখিল হওয়ায় তিনি বরখাস্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বরখাস্ত হওয়ার প্রজ্ঞাপনের চিঠিটি তিনি হাতে পেয়েছেন। এখন থেকে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান “চেয়ারম্যান” এর দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার থেকে দুটি তাজা বোমা, ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ২৫০ পিস ইয়াবাসহ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, তার বড় ভাই আব্দুস সালাম, তাদের সহযোগী উজ্জল হোসেন, সুমন হোসেন ও ফরহাদ হোসেনকে আটক করে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। পরদিন র‌্যাব-৬ এর ডিএডি মো. জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।

এ ঘটনার চার দিন পর ২ নভেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আরেকটি অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে ১টি দেশিয় রিভলবার, ৪টি শুটার গান, তিন হাজার বোতল ফেনসিডিল ও ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। সে সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সোহেল রানা, সোহান ও জামাল নামের অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।