তেল স্টেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জ্বালানি তেলের সংকট নিয়ে চলমান বিড়ম্বনা দূর হবে।
মংলা বন্দর সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে জ্বালানি তেল স্টেশনের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুনে এ তেল স্টেশনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। পরবর্তীতে এ জ্বালানি তেল স্টেশন থেকে দেশের সর্বত্র সকল প্রকার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর আগে ২০১৩ সালে এই জ্বালানি তেল স্টেশনের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ প্রেট্রেলিয়াম করপোরেশন।
মংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যিক জাহাজে তেল সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং দীর্ঘদিনের চলমান ভোগান্তি দূর হবে। একই সঙ্গে তেল সরবরাহ নিশ্চিত হলে বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি ও আমদানি রফতানি পণ্যের চাপসহ কাজের গতিও বৃদ্ধি পাবে।
তেল স্টেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দেশি-বিদেশি জাহাজসহ নৌযান সমূহে সরাসরি জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ডলফিন ওয়েল জেটি নির্মানের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ ভাগ কাজ চলতি মাসে শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, এখানে কেরোসিন, মবিল, লুবওয়েল, পেট্রোলসহ সকল প্রকার জ্বালানি তেল সংরক্ষণ ও মজুত করা হবে।