সুগারমিলের প্রশাসন বিভাগের অফিস সহকারী আব্দার রহমান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হুসাইনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, ডিসেম্বর মাসে তারা বেতন পেয়েছেন। তার পর থেকে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।
মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান জানান, মিলের প্রতিকেজি চিনির মূল্য ৬০ টাকা। মিলের চিনির চেয়ে বাজারের চিনির দাম কম থাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে না।
মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার জানান, সুগারমিলটিতে ১০১০ জন শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত ৩ মাস বেতন দেওয়া হয়নি। এছাড়া এপ্রিল মাসও প্রায় শেষ। সে হিসেবে তাদের মোট ৪ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মিলের গোডাউনে ৬ হাজার মেট্রিক টন চিনি পড়ে আছে। প্রতি টন চিনির মিল মূল্য ৬০ হাজার টাকা। সে হিসেবে মিলের গোডাউনে ৩৬ কোটি টাকার চিনি পড়ে আছে। মিলের চেয়ে বাজারের চিনির মূল্য কম থাকায় মিলের চিনি বিক্রি হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।