ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নলছিটি থানার এসআইকে শাস্তিমূলক বদলি

উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান

মাদক মামলায় বিবাদীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমানকে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) বদলি করা হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অফিস থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক আদেশে তার বদলির বিষয়টি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এসআই মিজানকে থানা থেকে কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি)দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মাদক মামলার চার্জশিট থেকে আসামির নাম বাদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত এসআই মিজান নলছিটি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহীন মল্লিকের স্ত্রী শারমীন বেগমের কাছে ৩৯ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। শারমিন বেগম একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে তার দাবিকৃত ৩৯ হাজার টাকা দেওয়ার পর আসামির (শারমীন বেগমের ছেলের) নাম বাদ না দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন এসআই মিজান। এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামের কাছে গত ১২ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শারমীন বেগম। অভিযোগ দায়েরের পর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া ঘটনাস্থলে (নলছিটি) গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় এসআই  মিজানকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এসআই মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। প্রাথমিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগকারী শারমীন বেগম বলেন,‘একটি সাজানো মিথ্যা মামলায় আমার ছেলে নাইম মল্লিককে জড়িয়েছে এসআই মিজান। সে নাইমের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এরপরও ওই মিথ্যা মামলায় আমার নিরাপরাধ ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। এ কারণে আমি ডিআইজি স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ২০১৪ সালে মিজান উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে নলছিটি থানায় যোগদানের পর তিনি এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে হেনস্থা ও হয়রানি করেছেন। তার সঙ্গে এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, জুয়াড়ি, ভূমিদস্যু চক্র, মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সখ্যতা রয়েছে।