সোমবার (২১ মে) সকালে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠি বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য তাড়াতাড়ি বাজারজাত করতে গত বছর থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সপ্তাহে সাতদিনে ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রাখা হয়। কিন্তু কিছুদিন চলার পর বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এ বন্দর সপ্তাহে ছয়দিন ২৪ ঘণ্টা সচল রয়েছে। বিশেষ কিছু সরকারি ছুটির দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে।
স্থানীয় আমদানিকারকরা জানান, ভারতের সঙ্গে বেনাপোলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ৭৫ শতাংশ পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হয়। মাত্র ৪ ঘণ্টায় সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের কলকাতা যায়। তেমনিভাবে কলকাতা থেকে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছায়। এ পথে ব্যবসায়ীদের কম সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। প্রতি বছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার মত রাজস্ব পেয়ে থাকেন।
সরেজমিনে বেনাপোল বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, রোজার মধ্যেও ভারত থেকে পেঁয়াজ, চাল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যর আমদানি বেড়েছে। পরে এসব পণ্য খালাস শেষে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ হচ্ছে। শিল্প-কারখানার উৎপাদন কাজে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের আমদানিও স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, রমজান মাসে দ্রুত পণ্য খালাস করার জন্য সব দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।