ঘূর্ণিঝড় আইলা: ৯ বছরেও স্বাভাবিক হয়নি উপকূলের জনপদ

01আজ ২৫ মে শুক্রবার। সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের উপকূলীয় জনপদের মানুষের কাছে আজকের এই দিনটি ভয়ঙ্কর ও বেদনাদায়ক। ২০০৯ সালের এই দিনে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দক্ষিণ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ। এক এক করে ৯ বছর পার হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি উপকূলের জনপদ। এসব এলাকায় এখনও মেলে না সুপেয় পানি, বাড়েনি সাইক্লোন শেল্টার, মেরামত করা হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ। তাই এখনও দুর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছেন এখানকার মানুষ।
২০০৯ সালের ২৫ মে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। লণ্ডভণ্ড করে দেয় এ অঞ্চলের হাজার হাজার বসত-ভিটা, আবাদি জমি। সরকারি হিসেবে, এতে প্রাণ যায় ৩৩২ জনের।
02এদিকে ঘুর্ণিঝড় আইলার ৯ বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে নেওয়া হয়নি কার্যকর উদ্যোগ। নিরুপায় হয়ে এদের অনেকেই ছেড়েছেন ভিটে-মাটি। কেউ আবার মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে বেছে নিয়েছেন নদীর তীর কিংবা বেড়িবাঁধ।
গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসান আলী গাজী বলেন, আইলার সময় সাগরের লবণ পানি এসে সমগ্র এলাকা ভাসিয়ে দেয়। এরপর থেকে সেখানে কৃষি ফসল উৎপন্ন হয় না, গাছ-গাছালি শূন্য হয়ে পড়া গোটা এলাকা মরুভূমির মতো পড়ে আছে। কাজের খোঁজে মানুষ প্রতিদিন প্রায় দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া অব্যাহত রেখেছে।
03পদ্মপুকুর এলাকায় শিমুল জানান, আইলার নয়টি বছর পার হয়েছে। তারা এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে খাবার উপযোগী পানি এমনকি জ্বালানির সংকটে পড়ে তারা অনেক কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, ‘পানি সংকট এবং কাজের অভাবে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়েছে। ৭ কি. মি. উপকূল রক্ষা বাঁধসহ গোটা ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। আকাশে মেঘ হলে নির্ঘুম রাত কাটে উপকূলবাসীর।’ এসব বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।