সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

যাবজ্জীবনসাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের দায়ে জিয়াউর রহমান (৩৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত জিয়াউর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা দক্ষিণ তলুইগাছা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোরব দুপুরে নির্যাতনের শিকার শিশুকে তার চাচাতো বোনকে নিয়ে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের আম বাগানে যায়। এ সময় জিয়াউর ওই শিশুকে চালতে পাড়তে গাছে উঠিয়ে দেয়। চালতে পাড়ার পর ওগুলো ওই শিশুর চাচাতো বোনকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চাচাতো বোন চলে গেলে জিয়াউর পারিবারিক গোরস্থানে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। এসময় তার চাচাতো বোন আবার ফিলে এলে তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে গোরস্থানের দিকে গেলে জিয়াউর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে কবরের মধ্য থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় চারজনের সাক্ষী ও নথি পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে জিয়াউরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি জিয়াউর পলাতক রয়েছে।