গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার

লাশ

যশোর সদরের পাগলাদহ এলাকা থেকে সোমবার বিকেলে  ফাতেমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজনদের দাবি। তার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন যশোর উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম। 

নিহত ফাতেমা বেগম যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট-বসুন্দিয়া এলাকার সাজ্জাদ আলীর মেয়ে। পুলিশের ধারণা, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের খালাত ভাই ওলিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, বছর পাঁচেক আগে তার বোনের বিয়ে হয় পাগলাদহ এলাকার কাঠমিস্ত্রি দাউদ হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে দাউদ প্রায়ই তার বোনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। তার ধারণা, রাতের কোনও এক সময়ে তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দাউদের আরেকটা স্ত্রী বিদেশে রয়েছে। সেই ঘরে দুটো সন্তানও রয়েছে। সে এক জন মাদকব্যবসায়ী। প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো।

যশোর উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া খবর অনুযায়ী বিকেল পাঁচটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী পলাতক।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শফিউল্লাহ সবুজ জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।