বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে পিটুনির শিকার যুবকের মৃত্যু

যশোরযশোরে এক বৃদ্ধাকে (৭০) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পিটুনির শিকার হয়ে ইরাদত খান (৩০) ওরফে ইরাদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। যশোরের বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হায়াৎ মাহমুদ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এসআই হায়াৎ মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে ইরাদ প্রতিবেশী এক বৃদ্ধাকে ভাত রান্নার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বিকাল থেকে ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ইরাদকে সন্দেহ করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে লোকজন তাকে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, ওই বৃদ্ধার লাশ তার বাড়ির পাশে মুরগির ঘরে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রয়েছে। সন্ধ্যায় ওই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্য থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। আর পিটুনির শিকার ইরাদকে এলাকাবাসী স্থানীয় চিকিৎসক আব্দুল হাইয়ের কাছে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ তাকে সেখান থেকে যশোরে নিয়ে আসে।’

এসআই হায়াৎ মাহমুদ জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইরাদের সারাদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান পা ভাঙা ছিল।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধাকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ

এক প্রশ্নের জবাবে এসআই হায়াৎ মাহমুদ বলেন, ‘ইরাদ এলাকায় খুব খারাপ প্রকৃতির ছেলে বলে পরিচিত। বছর খানেক আগে একই এলাকার ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয় সে। মাস ছয় আগে সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়। এরপর সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তার বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা রাজি না হলে পুলিশ বাদী হয়েই মামলা করবে।’

ইরাদের নানি নূরজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে তার বাবা-মা ফরিদপুরে তাদের এক আত্মীয়ের বিয়েতে গেছে। ১৬ জুলাই কী ঘটেছে তা আমি জানিনে। জামাই মেয়েকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা যশোরের পথে ।’

যশোর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র ব্রাদার মোফাজ্জেল হোসেন ডাক্তার মো. আব্দুর রশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে- ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।