যশোর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে

যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করছেন




এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গতবারের চেয়ে যশোর বোর্ডে এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এ বছর পাসের হার ৬০.৪০ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,০৮৯ জন।
গতবার পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ০২ এবং জিপিএ-৫ ছিল ২,৪৪৭। এবার পাসের হার প্রায় ১০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ তিন শতাধিক কমেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

পরীক্ষায় পাসের হার এত কম কেন—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘এবারের পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ছেলেমেয়েরা ভালো করতে পারেনি। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে খারাপ করেছে। যশোর বোর্ডে মাত্র ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে পাস করেছে, যা গোটা পাসের হারের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, ইংরেজিতে ফেল করার কারণে এবার মানবিক বিভাগে পাসের হারও খুব কম, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮১.৭২ হলেও মানবিকে তা মাত্র ৫৮.৯৬। এই ফলাফল গোটা ফলাফলের ওপর দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে। তবে, জিপিএ-৫ সামান্য কম হলেও ভালো শিক্ষার্থীদের ফলাফলে তা প্রভাব ফেলেনি।
এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ জেলার ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী ২১৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ছেলে ৫৬ হাজার ৮২০ জন এবং মেয়ে ৫২ হাজার ৮৭২ জন। পাস করেছে ৬৬ হাজার ২৫৮ জন।
মাধবচন্দ্র রুদ্র আরও বলেন, ‘চলতি বছর যশোর বোর্ডের অধীন চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করতে পারেনি। এগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়ার গোরাপাড়া হাজী নূরুল হক কলেজ (পরীক্ষার্থী-১), নড়াইলের গোবরা মহিলা কলেজ (পরীক্ষার্থী-৮), খুলনার হাড্ডা পাবলিক কলেজ (পরীক্ষার্থী -৭) ও ঝিনাইদহের প্রগতি মহিলা কলেজ (পরীক্ষার্থী-১৯)।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ঝিনাইদহের প্রগতি মহিলা কলেজ থেকে এবার যে ১৯ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা সবাই অনিয়মিত এবং প্রত্যেকেই ইংরেজিতে ফেল করেছেন।’
তবে, বোর্ডের অধীন ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে।