তোতলামির দায়ে শিক্ষার্থীকে মেরে হাসপাতাল পাঠালেন শিক্ষক

খুলনাশিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তোতলানো ও উচ্চারণগত ত্রুটি হওয়ায় মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। অথচ ওই শিক্ষার্থী এমনিতেই অসুস্থ। তার অভিভাবক তাকে না মারতে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলেন বিদ্যালয়ের কাছে।

যায়েদ বিন জামান দীর্ঘদিন ধরে টিস্যু দুর্বলতায় আক্রান্ত এবং এ কারণে তাকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতে হয় জানিয়ে তার পিতা মাগুরা শহরের আদর্শ পাড়ার বাসিন্দা মুন্সী কায়েমুজ্জামান বলেছেন, ‘এ বছরের জুলাইয়ে লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে আমার সন্তানকে মারধর করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু মঙ্গলবার যথাযথভাবে প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় ওই স্কুলের শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী আমার ছেলেকে নির্দয়ভাবে মারধর করেন। ছেলে মার খাওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে গোপন রাখে। কিন্তু রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা দ্রুত তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই।’
মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছাত্র যায়েদ বিন জামান জানায়, ‘আমি স্যারের মারপিটের হাত থেকে বাঁচার জন্যে পা জড়িয়ে ধরলে তিনি আরও বেশি মারতে থাকেন।’ অভিযুক্ত শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ভাষ্য, ‘ওই ছাত্রের কথাবার্তা আমার কাছে ব্যাঙ্গাত্মক মনে হয়েছিল। এ কারণে তাকে শাসন করেছি।’

মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান বলেছেন, ‘ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’ মাগুরার জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বলেছেন, ‘আহত ছাত্রের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারুক আহমেদকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’