বেনাপোলে ১৩ হাজার কেমিক্যালের পরীক্ষা হবে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!

বেনাপোল স্থলবন্দরবেনাপোল স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউসে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ১৩ হাজার তরল ও কঠিন কেমিক্যালের নিখুঁতভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাবে। রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্থলবন্দরে রমন স্পেকট্রোমিটার নামের এমন একটি মেশিনের শুভ উদ্বোধন করেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরী। মেশিনটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। 

রমন স্পেকট্রোমিটারে ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন কেমিক্যালের পরীক্ষা করা হবে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে পণ্যের জেনেটিক নাম ও গঠন জানা যাবে। মাদক দ্রব্য চিহ্নিত করতে এটি খুবই কার্যকর।

আগে এমন কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য ঢাকায় পরীক্ষা করা হতো। আর পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১৫/২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতো।    

বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা বিনামূল্যে তিনটি  রমন স্পেকট্রোমিটার যন্ত্র দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মেশিন তিনটি বেনাপোল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা কাস্টম হাউসের জন্য বরাদ্দ করে।  বাকি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পর্যায়ক্রমে এ মেশিন বসানো হবে।

দেশের বিভিন্ন বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নতুন এ যন্ত্র সংযোজন করা হল। এ ধরনের যন্ত্র সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কাস্টমস আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এতে উপকৃত হবেন সৎ ব্যবসায়ীরা অসৎ ব্যবসায়ীরা ধরা খাবেন শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, মেশিনটি প্রায় ১৩ হাজার কেমিক্যালের নমুনা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পরীক্ষা করে নিখুঁতভাবে রিপোর্ট দিতে সক্ষম। ফলে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির প্রবণতা হ্রাস পাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেমিক্যালের নামে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

বেনাপোল কাস্টম কমিশনার জানান, তিনটি মেশিনের একটি বেনাপোল কাস্টম হাউস পেয়েছে। ফলে বেনাপোল কাস্টম হাউসে নতুন অধ্যায় সূচিত হল।