এদিকে এ ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া আরও ১৫ জেলে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনার কাকদ্বীপের পার্থপতিম থানায় আটক আছেন। তাদের জলসীমা লঙ্ঘন করে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দিয়ে সেখানকার কেন্দ্রীয় কারাগার আলীপুরে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন এসআই মিলন দাস।
ভারতীয় এই পুলিশ কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারতীয় জেলেদের মাধ্যমে এই ১৫ বাংলাদেশি জেলেদের শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আটক করা হয়েছে।’ এদের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার মহিপুরের সুলতান, ছগির, শাজাহান, আবু সুফিয়ান ও আনছারের পরিচয় জানাতে পেরেছেন ভারতীয় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে ভারতের জেলেদের কাছে আরও ৯ জেলে আছেন বলে দাবি করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আরও জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।’
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দফতর) অপারেশন কর্মকর্তা লে. আব্দুল্লা আল মাহমুদ ও নৌবাহিনীর দিগরাজ ঘাঁটির মিডিয়া উইং ফরিদ আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কোস্টগার্ডের সুপতি, কচিখালী, কটকা, দুবলা ও শরণখোলার পাঁচটি স্টেশন এবং নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ “বিএনএস কপোতক্ষ” সাগরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ১৫টি ট্রলারসহ বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার ঝড়ের কবলে পড়ে শতাধিক জেলে নিখোঁজ হন।