যশোরে আ.লীগের বর্ধিত সভায় বক্তারা: লক্ষ্য একটাই, নৌকার বিজয়

বর্ধিতসভায় বক্তব্য রাখছেন কাজী নাবিল আহমেদক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিমান ভুলে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন যশোর আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের যশোর সদরের ১৪টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানরা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রবিবার (৯ ডিসেম্বর)  দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় নেতারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বিশ্বনেত্রী হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তাই শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী যেই হোক, আমরা তার বিজয় দেখতে চাই।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের সভাপতিত্বে বর্ধিতসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এবং দলের মনোনীত প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রাচীন ও বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগ পরিবারে নেতৃত্ব প্রত্যাশা থাকবেই। এ নিয়ে সামান্য ক্ষোভ অভিমান থাকা অস্বাভাবিক নয়।  প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রার্থী জিতলে তবেই শেখ হাসিনা জিতবেন। তাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে হলে নৌকার জন্য কাজ করতে হবে।’

কাজী নাবিল আহমেদ তৃণমূল নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘সব বিষয়েরই সমাধান হবে।  আবার ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে যশোরকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করা হবে।’

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘গত ১০ বছরে শেখ হাসিনা যশোরের মানুষের জন্যে অনেক কিছু করেছেন। এখন যশোরবাসীর উচিত নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের জেলা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘এখন থেকে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে আর কোনও ক্ষোভ থাকবে না। বিএনপি মনে করেছিল, আমাদের মধ্যে ঐক্য নেই। কিন্তু, বর্ধিত এ সভা প্রমাণ করলো জাতির ক্রান্তিকালে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। মানুষ স্বস্তিতে আছে, শান্তিতে আছে। এর বিপরীত চিত্র কেউ দেখতে চায় না। তাই নৌকার বিপরীত কোনও মার্কায় জনগণ ভোট দেবে না।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টুর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, চাঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী, চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদুর রহমান শহীদ, ইছালী আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন সভাপতি আলতাফ হোসেন, নওয়াপাড়া সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, নরেন্দ্রপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, দেয়াড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আলী, রামনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন, লেবুতলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি  সৈয়দ মেহেদী হাসান, জেলা তরুণ লীগের সভাপতি আসাদুল হক, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক বোস ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দীক প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনী প্রধান আলী হোসেন মণি, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, উপশহর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য লাইজু জামান প্রমুখ।