কোটচাঁদপুর থানার এসআই সৈয়দ আলী বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর নাজমা রহমানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে নাশকতার মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত আদিল উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪৫) ও একই উপজেলার লক্ষীকুন্ডুর খান পাড়ার সাইদ খানের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে (৪৫) আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে অধ্যাপক মতিয়ারের বিরুদ্ধে পাঁচটি ও তার স্ত্রীর নামে একটিসহ মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। যার সবগুলো মামলার বাদী পুলিশ। এ ছাড়া ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে দেশে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই সময় থেকে নানাভাবে তার নামে মামলা দায়ের অব্যাহত রয়েছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তার নামে ২০টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন একটি পক্ষকে সন্তুষ্ট রাখতে এবং নির্বচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে চলেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করছি। তিনি আরও বলেন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলে ঝিনাইদহ-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
তবে মামলার বিষয়ে মহেশপুর থানায় ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ দাবি করেন, মতিয়ার রহমানের নামে সম্প্রতি যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো নাশকতার মামলা। বিভিন্ন এলাকায় অভিযানকালে আটক ব্যক্তিরা মতিয়ার রহমানের যুক্ত থাকার কথা বলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।