পোলিং এজেন্টদের ভোটকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া, ভোটারদের মারধর করা ও পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ঝিনাইদহ-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, সকাল থেকেই ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও, বিএনপির কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এসব অভিযোগ পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে সহযোগিতা করেনি। মোবাইল ফোনে কথোপকথনে তিনি বলেছেন, ‘ভোটের কোনও পরিবেশ শৈলকুপাতে নেই। তাই ভোট বর্জন করলাম।’
ঝিনাইদহ-৩ আসনের মাওলানা মতিয়ার রহমানের নির্বাচনি এজেন্ট ফারুক আহাম্মেদ রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রার্থীর সাংবাদিকদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া,ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে বাধা দেওয়া ও নির্বাচনি পরিবেশ না থাকার অভিযোগে প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। তবে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সরোজ কুমার নাথের ভাষ্য, কোনও প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর তার জানা নেই। কেউ তাকে কিছু বলেনি।
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের ৪টি ইউনিয়ন) আসনের বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ভোট বর্জন করেছেন। ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিত হতে না দেওয়া, দুপুরের আগেই সব ভোট ‘পুল’ হয়ে যাওয়া, পুলিশের অসযোগিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে রোববার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়ে ভোট বর্জন করেন। সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেছেন, কোনও পরিবেশ না থাকায় তিনি নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন।