১২ বেডের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ৩৩ জন

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসাতক্ষীরায় শীতজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আশঙ্কাজন হারে ছড়িয়ে পড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ১২ বেডের ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ৩৩টি শিশু। ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

খোঁজ নিয়ে গেছে,  সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত তিন দিনে ৭৮টি শিশু ভর্তি হয়েছে। এদের অধিকাংশই শীতজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। অথচ এ  হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১২ জনের। সেখানে ভর্তি আছে ৩৩টি শিশু। অধিকাংশ শিশুর চিকিৎসা চলছে মেঝেতে ও বারান্দায়। এতে করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারপরও গত এক বছর ধরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেই কোনও শিশু বিশেষজ্ঞ।

কয়েকজন নার্স জানান, ওয়ার্ডে শয্যা, মেঝে কোনও স্থান ফাঁকা নেই। এত রোগীর চাপে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার শামসুর রহমান দিনে দুইবার এসে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশুদের দেখাশুনা করছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা।

হাসপাতালে ভর্তি শিশুরাশিশুদের স্বজনরা জানান, একজন ডাক্তার মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসে এখানে দিনে দু’বার দেখে যান, ওষুধপত্র দেন।

সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার শামসুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অভাবে এভাবে এক বছর ধরে তিনি শিশুদের দেখাশুনা করছেন। দিনে-রাতে দু’বার তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি না থাকলেও ডাক্তার সংকট রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিভাগ ছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। শিশু বিশেষজ্ঞ নেই কয়েক বছর ধরে। কয়েকবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করা যায়, খুব শিগগিরই ডাক্তার সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে।