জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে সদর উপজেলায় ৬২০ হেক্টর জমির ভুট্টা, ১০ হেক্টর রসুন, ৫০ হেক্টর গম, ১০০ হেক্টর মসুর, ৪০ হেক্টর খেসারি, পাঁচ হেক্টর কলা বাগান ও পাঁচ হেক্টর পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। মিরপুর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর তামাক, ৩০ হেক্টর ভুট্টা, চার হেক্টর রসুন, ২৬ হেক্টর গম, ২২ হেক্টর মসুর, দুই হেক্টর কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কুমারখালী উপজেলায় ২১ হেক্টর ভুট্টা, ৪০ হেক্টর রসুন, ৪৫ হেক্টর গম, ৪০ হেক্টর মসুর ও ১২ হেক্টর সবজির ক্ষতি হয়েছে।
কবুরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করি। যার পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।’
একই এলাকার কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আট বিঘা জমিতে তামাকের চাষ করেছি। তার পুরোটারই ক্ষতি হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভুতি ভূষণ সরকার বলেন, ‘শিলা বৃষ্টিতে খাদ্যশস্য ক্ষতির বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন অফিসে জানাবো। সরকারি কোনও সহযোগিতা আসলে কৃষকদের তা দেওয়া হবে।’
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘কৃষকদের তামাকের ক্ষতিটা বেশি হয়েছে। পরবর্তী মৌসুমে তামাকের পরিবর্তে মসুর, ভুট্টা, গম, পেঁয়াজ, রসুন ও ধান চাষ করলে কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।