যশোর এম এম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত দুই

আহত এম এম কলেজের ছাত্র

যশোর সরকারি এম এম কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী দুইজনকে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সভাপতির অনুসারীরা। তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, এম এম কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্র ও বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা এলাকার ওহাব বিশ্বাসের ছেলে সজীব আহমেদ প্রিন্স এবং যশোর সরকারি সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র ও মাগুরার শালিকার বাসিন্দা নুর ইসলামের ছেলে সীমান্ত ইসলাম।

আহত আরেক এক শিক্ষর্থী

আহত সজীব আহমেদ প্রিন্স জানান, বুধবার এম এম কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযাগিতা ছিল। অনুষ্ঠান দেখার জন্য তিনি ও তার খালাতো ভাই সীমান্ত কলেজে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আসাদ হলের সামনে পৌছালে ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীর অনুসারী নাহিদ, নুর ইসলাম, আক্তার, বনি, আশিকসহ ১০/১২জন হঠাৎ করে হামলা চালায়। তারা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এসময় তাদের চিৎকার শুনে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে অন্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার মনিরুজ্জামান লর্ড জানান, দুইজন গুরুতর জখম হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তারা এখন শংকামুক্ত।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’