বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন

অনাগত সন্তানকে দেখে যেতে পারলেন না লিটন





স্ত্রীর সঙ্গে লিটনরাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারের আগুনে নিহত মো. মিজানুর রহমান লিটন (৩৩) খুলনার তেরখাদা উপজেলার কোদলা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তার লাশ নিজ বাড়িতে পৌঁছে। এ সময় স্ত্রী সন্তানসহ স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে কোদলার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

ছাগলাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম এ হৃদয়বিদারক বর্ণনা দিয়ে বলেন, বাদ জুমা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লিটনের দাফন সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, লিটনের বাবা মা নেই। এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রী আবার সন্তান সম্ভবা। আগামী ১০ তারিখ তার সন্তান প্রসবের দিন রয়েছে। কিন্তু লিটন তাকে দেখে যেতে পারল না। এই পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন লিটন। এখন লিটনের স্ত্রী সন্তানটিকে নিয়ে কীভাবে চলবে আল্লাহই ভালো জানেন।

সন্তানের সঙ্গে লিটনতিনি আরও জানান, লিটনের স্ত্রীর নাম তানিয়া বেগম। তার ছেলের নাম মো. তানিম (৫)। লিটনের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী।

লিটনের ভাইপো সুমন শেখ বলেন, লিটন চাচা ওই টাওয়ারের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তার লাশ বাড়িতে পৌঁছালে সবাই শোকস্তব্ধ হয়ে যান। তার স্ত্রী এমনিতেই অসুস্থ। তার ওপর লিটনের লাশ আসার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। লিটনের মৃত্যুতে এ পরিবারটির আয়ের কোন উৎস থাকলো না।

উল্লেখ্য, আগুনে পুড়ে নিহত মো. মিজানুর রহমান লিটন ঢাকার বনানীতে হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, এফ আর টাওয়ারের ১০ তলায় একটি ফার্মে কর্মরত ছিলেন। আগুনে নিহত হওয়ার পর তার লাশ রাখা ছিল সিএমএইচ হাসপাতালে। সেখান থেকে তার ভাই মো. আলম শেখ লাশ বুঝে খুলনার কোদলা গ্রামে নিয়ে আসেন।