সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, রানা বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত




বন্দুকযুদ্ধসুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর খোন্তা কোদাইল খালে বন্দুকযুদ্ধে রানা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত ও দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। র‌্যাবের দাবি নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- রানা বাহিনীর প্রধান পান্না শেখ ওরফে রানা (২৮), মো. জুলহাস শেখ (৩২) ও মো. কামরুজ্জামান (৩৯)।

রানা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের গাবগাছিয়া গ্রামের মৃত-লুৎফর শেখের ছেলে। অন্যদিকে বলিবুনিয়া গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান এবং কামরুজ্জামান একই গ্রামের মৃত-আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান স্যুটার গান, দেশে তৈরি ৩টি পাইপগান, ২৩ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, ১৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ৩টি রামদা ও ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যাব সদস্যরা ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি নৌকা ও সুন্দরবনে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ও বিভিন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শামিম সরদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের মোংলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠানোর কর্তব্যরত চিকিৎসক দস্যু বাহিনীর তিন সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা এ অভিযান চালান। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে র‌্যাব সদস্যরা দস্যুদের ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।