যশোরে দুই জুট মিলে কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ

যশোর

দুই সপ্তাহের বিল না দেওয়ায় যশোরের দুটি জুটমিলের শ্রমিকরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল থেকে তারা মিল দুটির গেটে অবস্থান নেন। অন্যদিকে মিল দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে কোনও সিদ্ধান্ত না আসায় তারা কিছু করতে পারছেন না।

শ্রমিকরা জানান, গত ২১ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের মজুরি ২৩ মে দেওয়ার কথা ছিল।  এ কারণে সকালে শ্রমিকরা নিজ নিজ মিলে যান। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের মজুরির টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজের (জেজেআই) শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ইসরাইল সরদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আজ সকালে আমাদের দুটি বিলের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে এসে শুনতে পাই, আমাদের কোনও টাকা দেওয়া হবে না। সে কারণে আমরা ডিজিএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছি।’ তিনি জানান, তাদের ১৬ সপ্তাহের বকেয়া মজুরির মধ্যে আজ দু’সপ্তাহের মজুরির টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

জানতে চাইলে জেজেআইয়ের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শ্রমিকরা সকাল থেকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে  আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এই মিলে বদলি শ্রমিক মিলিয়ে মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৩শ’। এক সপ্তাহের মজুরি দিতে হলেও প্রয়োজন প্রায় ৫২ লাখ টাকা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুলনা ডিসি অফিসের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল,২৩ মে শ্রমিকদের ১ অথবা ২ সপ্তাহের মজুরি পরিশোধের চেষ্টা করা হবে। কিন্তু আজ তা পারিনি।’

তিনি আরও  বলেন, ‘অভয়নগর থানার ওসি বেলা ১১টার দিকে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’

অপরদিকে, কার্পেটিং জুট মিলসের সিবিএ’র সেক্রেটারি নজরুল ফারাজী বলেন,‘এখানে প্রায় সাড়ে চারশ’ শ্রমিক কাজ করে। দু’সপ্তাহের বিল দেওয়ার কথা ছিল। কর্মকর্তারা তা না দেওয়ায় আমরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবরুদ্ধ হয়ে আছি।’

কার্পেটিং জুট মিলসের ডিজিএম চন্দ্রকান্ত বৈরাগী বলেন, ‘দুই সপ্তাহের বিল দিতে হলে আমাদের প্রয়োজন প্রায় ২৪ লাখ টাকা। হেড অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা মিটিংয়ে বসেছেন। পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’