আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারীসহ ১৬ জন পরীক্ষার্থী, প্রশ্ন ফাঁস চক্র কিডস ক্লাবের পরিচালকসহ পাঁচ কর্তা ব্যক্তি ও আট জন অভিভাবক রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা সিপিসি কমান্ডার লে. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা কলারোয়া উপজেলা সদরের সোনালী সুপার মার্কেট ভবনের কিডস ক্লাব সেন্টারে আসেন। তারা সেখানে রাত যাপন করেন। রাতে ও সকালে মোবাইল ফোনে তাদের কাছে প্রশ্নপত্র আসে। সেখানে ওই প্রশ্নের উত্তর মেলানো হয়। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা ভবনটি ঘিরে ফেলেন। সেখান থেকে প্রথমে ২২ জনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরও সাত জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ব্যাংক কর্মকর্তাও রয়েছেন।
র্যাব জানায়, তারা জানতে পারেন, ঢাকায় বসে একটি প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ও তার উত্তরপত্র অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানাবে বলে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রশ্ন ও উত্তর ব্লাক বোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এ জন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা ছিল।
আটক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৪ মে’র প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিল। সেখান থেকে কিডস ক্লাবের প্যাডে হাতে লেখা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।