জিআরপি থানায় ধর্ষণ: মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা

ধর্ষণখুলনা জিআরপি থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ভিকটিম গৃহবধূর মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ১৫ আগস্ট রিপোর্টটি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক সাঈফুজ্জামানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. অঞ্জন বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট তিনি আদালতে পাঠিয়েছেন। তবে রিপোর্টে কী বলা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আদালতের জিআরও লুৎফর রহমান বলেন, ধর্ষণের মামলাটি মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থাকায় মেডিক্যাল রিপোর্টটি ওই আদালতে পাঠানো হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভিকটিমকে আগামী রবিবার (২৫ জুলাই) জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তিনি। আর ভিকটিমের মেডিক্যাল রিপোর্টটি পাওয়ার জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন। 

প্রসঙ্গত, ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে ফুলতলা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে ওই রাতে তাকে খুলনা জিআরপি থানা হাজতে রাখা হয়। ৩ আগস্ট তার কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তার নামে একটি মামলা দিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ফুলতলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট  আদালতে জামিন শুনানির সময় জিআরপি থানায় রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন ভিকটিম। তিনি বলেন, ওসি উছমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ৮ আগস্ট পাকশি ও ঢাকা থেকে গঠিত পৃথক ২টি তদন্ত টিমের সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেল গেটে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। আদালতের নির্দেশে ৯ আগস্ট ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে ফিরোজ আহমেদকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।