রিপন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের তালিকাভুক্তছিলেন। স্থানীয় কাশেম স্মৃতি স্পোর্টিং ক্লাবের হয়েও তিনি নিয়মিত খেলতেন।
রিপনের বাবা শওকত হোসেন অভিযোগ করেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে খালিশপুর ক্লিনিকে ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় রিপনকে ভর্তি করা হয়েছিল। ৮ সেপ্টেম্বর ভোরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. সুজা উদ্দিন রিপনকে নিয়ে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। তবে তার রোগের বিষয়ে জানতে ও কাগজপত্র আনতে গেলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাদের মৃত্যুসনদ ধরিয়ে দেয়। সনদে বলা হয়, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুসনদে রিপনকে ভোর ৪টায় মৃত উল্লেখ করা হয়। বলা হয় তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। সনদে বয়স উল্লেখ করা ৩০ বছর। আবার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২৮ বছর।
তবে খালিশপুর ক্লিনিকের মালিক ডা. কাজী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ ওঠায় আমরা লাশের ময়নাতদন্তের কথা বলেছিলাম। এতে চিকিৎসকের ভুল নাকি অন্য সমস্যা ছিল তা পরিষ্কার হতো। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবার তা মানেনি। তিনি দাবি করেন, ঘটনার রাতে রোগীকে নিয়ে এসে তার স্বজনরা যেভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে খালিশপুর ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজা উদ্দিনকে মারধর এবং ক্লিনিক থেকে ধরে নিয়ে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।