খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা, আদায় হয় এক হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ১৮.২৭ ভাগ। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫১১ কোটি টাকা, আদায় হয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫ ভাগ। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৪০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আদায় হয় ৫০৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আদায়ের প্রবৃদ্ধি ২৫.৫৫ ভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ১০ নভেম্বর পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৭টি টিআইএন খোলা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন টিআইএন খোলা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৩০টি। এ বছরের জন্য নতুন ২৪ হাজার টিআইএন খোলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় বলেন,‘খুলনা কর অঞ্চলের আওতাধীন বিভাগের ১০ জেলার সেরা ৭৭ জন করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। বিভাগের ১০ জেলা ও খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে খুলনা কর অঞ্চলের অধিক্ষেত্র। প্রতিটি জেলা থেকে ৭ জন করে ও সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে ৭ জন নিয়ে সেরা করদাতা শনাক্ত করা হয়েছে। সেরা করদাতারা পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘সেরা করদাতা হিসেবে একজন নারী করাদাতা,একজন তরুণ করদাতা (বয়স চল্লিশের নিচে); দীর্ঘ সময় ধর আয়কর দেন এমন দুই জন এবং সর্বাচ্চ করদাতাদের মধ্য থেকে ৩ জন এ সম্মাননা পাবেন। এই ৭৭ জনের নামও ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় মহানগরীর সিটি ইন হাটোলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়াজন করা হয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেবেন।’
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কর অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার অঞ্জন সাহা, যুগ্ম কর কমিশনার মঞ্জুর আলম,উপ-কর কমিশনার তারিক উদ্দিন আহমেদ,উপ-কর কমিশনার মো. শামসুজ্জামান ও উপ-কর কমিশনার মিজ দিলারা জামান।