নিহত আনিসুর রহমান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা গ্রামের তবিবুর রহমান ওরফে তবি কাজীর ছেলে। আহত সাইফুল একই এলাকার রবিউল সরদারের ছেলে।
আনিস কাজীর প্রতিবেশী আকাশ এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত আনিস কাজীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। অন্যদিকে আহত সাইফুল খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে যশোর রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) এএসআই রেজাউল করিম জানান, সকালে বেনাপোল থেকে খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে আসে। ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি অভয়নগর উপজেলার ভাঙ্গাগেট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় একটি খালি ট্রাক (যশোর-ট ১১-১৭১১) রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। ট্রাকটি রেললাইনের মাঝ বরাবর পৌঁছালে ট্রেনটি তাতে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি উল্টে রেললাইনের পাশে পড়ে যায় এবং ট্রাকচালক ও তার সহকারী মারাত্মক আহত হন। ট্রেনটির সামনের অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের ডাক্তার হাফিজা নারগিস জানান, আহত দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জরুরি সেবা দিয়ে তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত আনিস কাজীর প্রতিবেশী আকাশ আরও জানান, খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রাকচালক আনিস কাজী মারা যান বলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক আরিফ তাকে ফোনে জানান। আহত সাইফুল ইসলামকে খুলনার একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
নওয়াপাড়া স্টেশনের মাস্টার মহসিন রেজা বলেন, ‘রেলক্রসিংটি অতিক্রমের সময় ট্রেন ওই ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর আধঘণ্টা বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণের পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এতে অন্য ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি।’