হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়াকুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ও দুই আসামির জবানবন্দিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় আদালত এ রায় দেন। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার নফছের আলী ছেলে জাগো (৩০)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলাম মণ্ডল ওরফে কালু (৩২), বিত্তিপাড়া এলাকার মনোয়ার মণ্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), একই এলাকার শামসুলের ছেলে ইউনুচ (৩৫), গজনবীপুর এলাকার মৃত আলম ফকিরের ছেলে বাদশা ওরফে বাশি মণ্ডল (৩৮), দেড়িপাড়া এলাকার তোয়াক্কেল জোয়াদ্দারের ছেলে আলিম ওরফে ঝড়ো (৩৮), উজানগ্রাম এলাকার মোনাউল্লাহর ছেলে বাবলু (৪০), বারুইপাড়া এলাকার আফাজ সর্দারের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মৃত. তাইজাল হোসেনের ছেলে রহমত ওরফে সাইদুল (২৬), ইজ্জত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৫) ও আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আসাদুল (২১)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে শহিদুল, আলিম, বাবলু, সাইদুল, মিজানুর, আলী, ইউনুচ ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাগো পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৪ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা বারুইপাড়া গ্রামে একটি সেতুর রেলিংয়ের ওপর দেহবিহীন মাথা পাওয়া যায়। সেতু থেকে কিছুটা দূরে নালার ভেতর মৃতদেহটি পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দেহবিহীন মাথাটি এবং মাথাবিহীন দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ জানতে পারে লাশটি মিরপুর উপজেলার স্বরুপদহ গ্রামের ফরিদুল ইসলামের (৩২)। এ ঘটনায় পরদিন ২৪ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।