গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দু-দেশের ব্যাবসায়ীরা বেনাপোল টিটি টার্মিনালে পাইপের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর হয়।
জানা গেছে, ১৩০ মাইল মাটির তলা দিয়ে বসানো হবে এই পাইপ লাইন। ইতোমধ্যে ৬ ফুট করে জমি ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ পর্যায়ে। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নমালীগ্রাহা রিফাইনারি লিমিটেড।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশকে দুবাইসহ অনান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হতো। এতে যেমন দীর্ঘ সময় লাগতো তেমনি অর্থও বেশি খরচ হতো। এখন ভারতের শিলিগুড়ি থেকে পাইল লাইনের মাধ্যমে তেল আমদানিতে কম খরচে খুব দ্রুত তেল পাবর্তীপুরে পৌঁছাবে। এতে যেমন সময় কম লাগবে তেমনি খরচও কমে আসবে। ভারত সরকারের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় এমন চুক্তি বাংলাদেশের জন্য মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন,‘সৌহার্দ্যের আরও একটি মাইল ফলক সৃষ্টি হলো। ভারত সরকারের দেওয়া সহায়তায় পাইপ লাইনে আসবে জ্বালানি তেল।’
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. টিপু সুলতান বলেন, ‘দ্রুত গতিতে স্বল্প সময়ে অল্প খরচে আসবে তেল। এতে উপকৃত হবে দু'দেশ।’
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গলফ ওরিয়েন্ট সিউস লিমিটেড ঢাকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ
মাহফুজ হামিদ বলেন, ‘পাইপের কাজ শুরু হবে মার্চ মাসে। শেষ হবে ২২ সাল নাগাদ।’ এটি বাংলাদেশের জন্য মাইল ফলক বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) আব্দুল জলিল জানান, ভারত সরকারের দেওয়া জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপ অনুদানের প্রথম চালান দেশে এসেছে। এর কিছু অংশ ছাড় করা হয়েছে এবং তা দেশের পার্বতীপুরে পৌঁছে গেছে। অনুদানের বাকি পাইপ পর্যায়ক্রমে দেশে আসবে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, গত ২০০৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেন্ডশিপ পাইল লাইনের উদ্বোধন করেন। শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ কিলোমিটার ভারত অংশে ও ১২৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। আগামী মার্চের মধ্যে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে দিচ্ছে ৩০৩ কোটি রুপি।