সৌম্যের বিবাহ অনুষ্ঠানে মোবাইল চুরির ঘটনায় মামলা

মামলাবাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা সৌম্য সরকারের বিবাহ অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে আটক দুজনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, মোবাইল চুরি ও পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বর ও কন্যা পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে খুলনা ক্লাব লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের সুনাম ক্ষুণ্ন কারার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা ক্লাবের হিসাব রক্ষক বাবুল কুমার দাস খুলনা সদর থানায় এ অভিযোগ করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, ‘মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় মো. সেলিম (৩০) ও মো. রাসেল (২৭) নামে দুই চোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে খুলনা ক্লাব থেকে পাল্টা একটি অভিযোগ করা হয়েছে।’

খুলনা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই টিপু সুলতান বলেন, ‘মোবাইল চুরির ঘটনায় বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র বাদী হয়ে আটক দুজনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’

খুলনা ক্লাব লিমিটেড কর্তৃপক্ষের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাত সোয়া ৯টায় বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন অতিথির মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় দুজন চোরকে ধরা হয়। কিন্তু উত্তেজিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন চোরদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় ক্লাবের নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ চোরদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু অতিথিরা চোরদের ছিনিয়ে নেয় এবং অভ্যর্থনা কক্ষের সামনে থাকা সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ফুলের টব ভাঙচুরসহ ক্লাব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজসহ চোরদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রায় পাঁচশ’ বরযাত্রী নিয়ে সৌম্য সরকার খুলনা ক্লাবে প্রবেশ করেন। এ সময় ৩টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। রাত ১০টার দিকে মালা বদলের আগে আরও চারটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। সৌম্যের বাবা ও বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের মোট ৭টি মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ঘটনায় হট্টগোল শুরু হলে মালাবদল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুই চোরকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়।