আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটে মঙ্গলবার দুপুর থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বেড়েছে উপকূলীয় এলাকায়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবে না। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই রাখতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার এ জেলার জন্য ২০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ, গোখাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৫টি মেডিক্যাল টিম। মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মোংলা, শরনখোলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন।
মোংলা বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে বন্দরে অবস্থানরত ১১টি জাহাজকে বন্দরের মূল চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিরাপদে রাখা হয়েছে। সুন্দবনের পূর্ব বনবিভাগের ডিএফও বেলায়েত হোসেন জানান সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের ১০টি স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পার্শ্ববর্তী বন অফিসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এইকসঙ্গে সুন্দরবনে অবস্থানরত সব কর্মচারীদের সর্তক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ১ হাজার ৩১টি সাইক্লোন সেল্টারে ৫৭ হাজার ৯২৭ জন মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। একইসঙ্গে ৯ হাজার ৫৫০টি গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।