বাগেরহাটে ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দি

প্লাবিত এলাকাবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার (২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণে ঢুবে গেছে ১০ হাজার চিংড়ি ঘের। শরণখোলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম এখন পানির নিচে। হাজার হাজার পরিবারের বসত ঘরে হাঁটু পানি হয়ে গেছে। শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে সরকারি খাদ্য গুদাম।

এদিকে জেলার মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোংলা উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে আরও ৪০ হাজার পরিবার। এসব এলাকায় ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই রান্না করতে পারছেন না। অসময়ে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো অবর্ণনীয় দুর্দশায় পড়েছে।

প্লাবিত এলাকাশনিবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার পানের বরজসহ ৪০ হেক্টর শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত জেলার ৯ হাজার ৭৬১টি চিংড়ি ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

প্লাবিত এলাকাশরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখেছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে বাঁধ কেটে সরকারি খাদ্য গুদামের পানি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলমান রয়েছে।’প্লাবিত এলাকা