সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় জেলা আ.লীগ সভাপতির সাক্ষ্যগ্রহণ

সাতক্ষীরায় আদালতে মুনসুর আহমেদসাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার ১০ নম্বর সাক্ষী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের অপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য হওয়ায় সাক্ষীকে জেরা করেননি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির দশম সাক্ষী মুনসুর আহমেদকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনকে আসামি করে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আপিল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এ বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।