অনশনরত খুবির দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন কে‌সি‌সি মেয়র

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমৃত্যু অনশনরত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে প্রথমে তি‌নি অনশনরত দুই শিক্ষার্থীকে তাদের কর্মসূ‌চি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান এবং পরে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ করেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি বলেন, ‘অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অ‌ভিযোগের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে শাস্তি কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতিয়ার রহমান বিকালে জানান, অনশনরত দুই শিক্ষার্থী লিখিত দিয়েছেন। যা প্রশাসন থেকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত বিষয়ে মেয়রকে জানালে তিনি এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাবেন।      

এর আগে ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থানরত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারা উভয়ই শৃঙ্খলাবোর্ড প্রদত্ত শাস্তি প্রত্যাহারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করার জন্য তাদের পরামর্শ দেন। তখন উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুনের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। তাদের যে অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তির প্রদানের কথা

উল্লেখ করা হয়েছে এতে আত্মপক্ষ সমর্থনের একাধিক সুযোগ রয়েছে। তারা তাদের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ বা অনুশোচনা প্রকাশ করলে এখনও বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে দু’জন সম্মানিত শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা তাদের কাছেও দুঃখ প্রকাশ করতে পারেন। উপাচার্য ওই দুই শিক্ষার্থীকে আশ্বাস দেন, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনার অপেক্ষা রাখে। এ ছাড়া সকালে উপাচার্য অফিসে প্রবেশের আগে অবস্থানরত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন এবং একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান আনান।

সকালে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন এবং সন্ধ্যায় সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ জানুয়ারি সন্ধা থেকে দুই শিক্ষার্থী ৪৮ ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি শুরু করে। এ সময়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না হলে দুই শিক্ষার্থী আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি পালন করে।