নিখোঁজের ৬ দিন পর অঙ্কিতার লাশ পাওয়া গেলো সেপটিক ট্যাংকে

খুলনার দৌলতপুরে নিখোঁজের ৬ দিন পর স্কুলছাত্রী শিশু অঙ্কিতা দে ছোঁয়ার (৮) লাশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে মহানগরীর দৌলতপুর ৫নং ওয়ার্ডস্থ পাবলা বণিকপাড়া মৌচাক টাওয়ার ও ইউনাইটেড স্কুলের মধ্যবর্তী জায়গা থেকে সে নিখোঁজ হয়। অঙ্কিতা সুশান্ত দে’র ছোট মেয়ে ও বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটি নিখোঁজের ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়। এরপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে পাবলার বণিকপড়া কালিমন্দিরের দক্ষিণ পাশে প্রভাত কুমারের বীণাপানি নামে পাঁচতলা ভবনের নিচতলার সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে নিচতলার মেকাপওয়ে পার্লারের মালিক মুক্তি বিশ্বাস ও মিস্ত্রি মানিককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে অঙ্কিতা বাড়ি হতে বের হয়ে পাশের স্থানীয় গোলামের মাঠে খেলতে যায়। গোলামের মাঠের সিসি ক্যামেরা ফুটেজেও তা দেখা গেছে। তবে সেখানে অঙ্কিতা কয়েক মিনিট মাত্র অবস্থান করে। সেখানে থেকে সে বের হওয়ার পর আর বাড়িতে ফেরেনি। স্থানীয় আনোয়ার বন্দের বাড়ির ভাড়াটিয়া নাসিমা বেগম (৩৭) দাবি করেন, তিনি বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় মিজা বন্দের ফাঁকা জায়গায় বেকারি শ্রমিক জাহাঙ্গীরের মেয়েসহ আর দুটি মেয়ের সঙ্গে খেলা করতে দেখেছেন অঙ্কিতাকে। নাসিমার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর যায় বেকারি শ্রমিক জাহাঙ্গীরের দিকে।

তিনি জানান, এর পরদিন সকালে জাহাঙ্গীর তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিক্তা, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকাক নিয়ে যশোরে গেলে সন্দেহ আরও বাড়ে। জাহাঙ্গীর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিক্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন অঙ্কিতার বাবা-মা। বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশের নির্দেশে জাহাঙ্গীর নিজ বাড়িতে চলে আসে। এরপর তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।