স্বামীর জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামে সোমবার (২২ মার্চ) মৌসুমী খাতুন (২৪) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর বিরুদ্ধে। নিহত মৌসুমী যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। পুলিশ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে মোসা. মৌসুমী খাতুনের

বিয়ে হয় প্রায় ৮ বছর আগে। বিয়ের পর তাদের ঘরে মারিয়া (৭) ও চাঁদনী (৮ মাস) নামে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো।

মৌসুমী খাতুনের পিতা মোতালেব মিয়া জানান, আমার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে মৌসুমী সোমবার রাত প্রায় ১১টায় বাঁচানোর আকুতি জানায়। তখন আমি তাকে নানা কথা বলে সান্ত্বনা দেই। পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত সীমাখালী জামাইয়ের বাড়িতে এসে দেখি মেয়ের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানায়, স্বামীর জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে গলায় রশি ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় জামাই। আমি এর বিচার চাই।’

গৃহবধূর ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খায়রুল মোল্যা ওরফে মানো নেশাগ্রস্ত ও জুয়াখেলায় আসক্ত ছিল। আমার বোন এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে প্রায়ই মারপিট করতো সে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।