নিজেকে জীবিত প্রমাণে সরকারি দফতরে ঘুরছেন হাসিনা বানু

কুষ্টিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে সে নির্দেশনা মানার ইচ্ছে থাকলেও মানতে পারছেন না জেলার কুমারখালি উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হাসিনা বানু।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ‘অভাবে’ তিনি এখন শতচেষ্টা করেও করোনা টিকা নিতে পারছেন না। কেননা তাকে মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে তাকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন অফিস। এছাড়া টিকা না নেওয়ায় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন প্রাপ্তিতেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে এই নারীকে।

হাসিনা বানু বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে ভোটার তালিকায় নিজের নাম না পেয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করি। এসময় তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তার স্ট্যাটাস শূন্য, অর্থাৎ তাকে মৃত বলে বাদ দেওয়া হয়েছে।

হাসিনা বানু আরও বলেন, আমি জীবিত থেকেও কীভাবে ভোটার তালিকায় মৃত হলাম জানি না। তবে এর সমাধান জানতে চাইলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা একটি আবেদন করতে বলেন। আজ আবেদন করেছি। তবে আবেদনটি করার আগে এই ১০ দিন আমাকে বিভিন্ন অফিসে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে।

হাসিনা বানুর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৮২০২৫৩৫৪০০। তিনি ২০২১ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে ভোটার তালিকায় নিজের নাম খুঁজে না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। এ বিষয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এটা আবার কেমন দেশ! জীবিত থেকে ২০২১ সাল থেকে মৃতই হয়ে গেলাম।

এদিকে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তথ্য সংগ্রহকারীর ভুলক্রমে জীবিত হাসিনা বানুকে ভোটার তালিকায় (ডাটাবেজে) মৃত দেখিয়েছেন।

এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, এটি কোনো ইচ্ছাকৃত বা অন্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে নয়, বরং কাজের ভুল। তথ্য সংগ্রহকারী ভুলক্রমে জীবিত হাসিনা বানুকে ভোটার তালিকায় এন্ট্রি করার সময় মৃত দেখিয়েছেন। আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে।