ইয়াশ মোকাবিলায় বাগেরহাটে প্রস্তুত হচ্ছে ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র। শুক্রবার বিকালে জরুরি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।

সভায় জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা প্রস্তুত থাকবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করবেন। জেলার জনগণকে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, দিয়াশলাই ও ঝড়ের সময় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি রাখার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাগেরহাট উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে এই জেলার মানুষ একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবাণী অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জসহ জেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। আসন্ন ঝড় মোকাবিলা করতে ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ 

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে গতিবেগ কম হলেও ২৬ মে ভরা পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর তা হলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের বড় ধরনের ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার নাহমুল কবির ঝিলাম, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানরা অংশ নেন।