ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে দুই থেকে আড়াই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাসহ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তবে এ উপজেলার পানগুছি নদীর তীরে থাকা শানকিভাঙ্গা ও বদনী ভাঙ্গা গ্রামের বেড়িবাঁধ না থাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। একই ভাবে জেলার শরণখোলা রামপালসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় ৩৩৪ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২৯ স্কুল কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় তিন লাখ লোকের থাকাসহ গবাদিপশুও রাখা যাবে। একইসঙ্গে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্কসহ পর্যাপ্ত পানি।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, সব মিলিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। নগদ টাকাসহ ২৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্য কেনার জন্য আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ সদস্যরা সব ধরনের পর্যাপ্ত যানবাহন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮৫টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৌদ্ধ বলেন, পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উপকূলীয় এলাকায় নদী-খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ এ পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাটায় এ পানি আবার নেমে যাবে।

বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, সিগন্যাল ৪ নম্বর না হওয়া পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ৪ নম্বর সিগন্যাল জারি কিংবা ক্রস করলেই সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আবহাওয়া স্টেশনের মতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে আমাদের তেমন ক্ষতি হবে না। তারপরও এই ঝড় যেকোনও সময় দিক পরিবর্তন করতে পারে। এজন্য জেলায় ৩৩৪ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২৯ স্কুল-কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, সব মিলিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ সদস্যরা সব ধরনের পর্যাপ্ত যানবাহন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮৫টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছে বলে জানান তিনি।