ইটের কবরে দাফন

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আশাশুনির প্রতাপনগরের মানুষ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে সেখানে এখন মারা যাওয়ার পর কবর দেওয়ার মাটি পর্যন্ত মিলছে না, সবই পানির নিচে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতাপনগরের দু’জনের মৃত্যু হয়। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে বিকল্প উপায়ে দাফন করা হয়েছে।

প্রতাপনগরের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম গাজীর ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৪) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় তার কর্মস্থল কলারোয়ার বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার মরদেহ আনা হয় প্রতাপনগরে। কিন্তু প্রতাপনগরসহ আশপাশের এলাকা পানির নিচে ডুবে আছে।

তিনি আরও জানান, বাদ আছর জানাজার পর বিকল্পভাবে পারিবারিক কবরস্থানে কবর না খুঁড়েই দাফন করা হয় তাকে। জোয়ারের পানি কমে গেলে ইট বিছিয়ে তার উপরে পলিথিন দিয়ে থরে থরে ইটের দেয়াল করে তাকে সমাহিত করা হয়।

মাহমুদুল কলারোয়ায় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি একমির (এগ্রোভেট) বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে প্রতাপনগর গ্রামের ডা. আক্তার হোসেনের বাবা আরশাদ আলী সানা (৭৮) বৃহস্পতিবার বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে মারা যান। শুক্রবার (১৮ জুন) জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বিকল্প উপায়ে তাকেও দাফনের কথা রয়েছে।