বড় রাস্তায় কঠোর অবস্থা, গলিতে যেমন-তেমন 

ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধ পালনে খুলনার প্রধান প্রধান সড়কে শক্ত অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। ফলে শহরে গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। কিছু রিকশা-ভ্যান চলাচল করলেও অন্যান্য যানবাহন তেমন চোখে পড়েনি। মালবাহী কিছু মিনি ট্রাকও চলেছে। তবে বড় রাস্তার এই কঠোর অবস্থার দেখা মেলেনি অলিগলিতে। সেখানে ইজিবাইক অনায়াসেই চলাচল করছে। সামাজিক দূরত্ব নেই, মাস্ক ছাড়াই চলছে আড্ডা। হোটেলে বসেই খাচ্ছেন পাড়া-মহল্লার যুবক থেকে বয়স্করা।

খুলনার অলি-গলিতে বিধিনিষেধ মানার বালাই নেইনিউ মার্কেটের জারিকারক আবদুল কুদ্দুস বলেন, কাঁচাবাজার ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে বিধিনিষেধ পালনের আহবান জানাচ্ছি। কেউ কেউ সে আহ্বান মানছে। আমারতো কিছুই করার নাই, ঘোষণা করাই কাজ। তাই ঘোষণা করেই যাচ্ছি।

খুলনার কাঁচাবাজারে ভিড় দেখা গেছে শিববাড়ি মোড়ের সালেহ বেগম বলেন, শিশু হাসপাতালে নাতি ভর্তি রয়েছে। তাকে রেখে রাতে বাসায় আসি। সকালে যাবো, কোনও গাড়ি পাচ্ছি না। এতটা রাস্তাতো হাঁটতে পারবো না।

সোনাডাঙ্গার নিবাসী সালাম তরফদার বলেন, ঈদের পর কাঁচাবাজারের জন্য বাইরে আসতে হলো। তরকারির বাজার সহনীয় থাকলেও মাছ বাজারে বেশ ভিড় আছে।

বিধিনিষেধে শূন্য হয়ে পড়া সড়কখুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ অনুযায়ী জেলা ও মহানগরীতে সব ধরণের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শুধুমাত্র পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে।

খুলনার মাছবাজারে বেশ ভিড় ছিলখুলনার জেলা প্রশাসক এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিধিনিষেধ খুলনা জেলা ও মহানগরের সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।