বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকা পর্যটকদের জন্য আপতত সুখবর নেই। নৈসর্গিক সুন্দরবনের সৌন্দর্য ফের কবে উপভোগ করা যাবে সেটাও জানা নেই কারও। তবে পরিস্থিতি ইতিবাচক থাকলে খুব বেশিদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
পূর্ব সুন্দরবনের ডিএফও (বিভাগীয় বন কর্মকর্তা) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌ-যান চলাচল ১ এপ্রিল থেকেই বন্ধ রয়েছে। প্রায় চার মাস ধরে কেউ যাচ্ছে না সুন্দরবনে।
সামনের শীতে সুন্দরবনে পর্যটকদের উপস্থিতি থাকার কথা বেশি। ওই সময়ই কিছু আয় হয় সুন্দরবন কর্তৃপক্ষ ও এ সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটরদের। কর্তৃপক্ষ জানালো, গত চারমাসে ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সুন্দরবন। পর্যটনের কথা মাথায় রেখে যদি ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা আসে তবে সুন্দরবন আবার উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ‘এ ছাড়া এখানে পর্যটনের সঙ্গে কয়েক হাজার ব্যক্তি ও পরিবারের রোজগার জড়িত। তারা এখন বেকার। মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন গাইডরাও।’
মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী ও দুবলা এবং পশ্চিম সুন্দরবনে হিরণপয়েন্ট, কলাগাছিয়া ও মান্দারবাড়ি-এ আটটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। করোনার কারণে সবকটি স্পটই এখন বন্ধ।