দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের আবাদ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন হারুন অর রশীদ মুসা। পেশায় শিক্ষক মুসা ত্বীন, অ্যাভোকাডোর পর এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন পিংক রোজ জাতের বড় ড্রাগন ফল। যে ফলের এক একটির ওজন ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। চারা, সেচ, সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ পাঁচ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় আট লাখ টাকা। ইতোমধ্যে উৎপাদিত পিংক রোজ ড্রাগন বিক্রি করে তিনি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন। কৃষিতে এলাকাবাসীর কাছে মুসা এখন উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হারুনুর রশীদ মুসা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
নিজের পরিশ্রম ও সাফল্যের বিষয়ে হারুনুর রশীদ মুসা বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে আপেল কুলের আবাদ করি। এরপর পেয়ারা, মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের আবাদও করেছি। গত পাঁচ বছর আগে ড্রাগন ফলের আবাদ শুরু করি। এছাড়া অ্যাভোকাডো ফলেরও আবাদ করেছি। বর্তমানে ১১ বিঘা জমিতে ড্রাগনের আবাদ রয়েছে। এরমধ্যে পিংক বড় জাতের ড্রাগনের আবাদ রয়েছে পাঁচ বিঘা জমিতে।
করোনাকালে ড্রাগন ফলের বাজার মন্দা গেলেও পিংক রোজ জাতের ড্রাগন ফল ২৫০ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
মুসা বলেন, এখন প্রতিদিনই বাগান থেকে ড্রাগন ফল তুলছি। বাগান থেকে ক্যারেটে করে ফল ভর্তি করে পাঠাচ্ছি ঢাকার ওয়াচঘাটে। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার বেশি ড্রাগন ফল বিক্রি করেছি। এ সিজনের আগামী দুই-তিন মাসে আরও প্রায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকার মতো ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষি কাজে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা বাগান পরিদর্শন করছেন। অনেকে বাগান থেকেও ফল সংগ্রহ করছেন বলে জানান মুসা।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, মুসা একজন ইনোভেটিভ কৃষক। তার বাগানে শুধু ড্রাগন নয়। মাল্টা, অ্যাভোকাডো, ত্বীনসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলের আবাদ রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমি নিজেই তার প্রতিটি বাগান পরিদর্শন করেছি। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় তাকে প্রশিক্ষণেও পাঠানো হয়। মুসার মতো কৃষি উদ্যোক্তারা দেশের কৃষিক্ষেত্রে দারুণ অবদান রাখছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।