রাতারাতি বড়লোক হতে ইয়াবা ব্যবসায় হাসপাতালের পিয়ন

কক্সবাজারের টেকনাফে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আব্দুর রহিম (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আব্দুর রহিম টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়ার চাকমা কাটা গ্রামের বাসিন্দা।

বৃস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ইয়াবার একটি চালান পাচারের খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে আসে থানা পুলিশের একটি দল। এরপর অভিযান চালিয়ে রহিমকে আটক করে। এ সময় তার কাছে ২০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আব্দুর রহিম বলেছেন, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরসহ অনেককে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে রাতারাতি বড়লোক হতে দেখেছেন। তাই হঠাৎ বড়লোক হওয়ার জন্য নিজেও মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন তিনি।

ওসি জানান, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ইয়াবা চালান করে আসছিলেন আব্দুর রহিম। তার সঙ্গে জড়িত মাদক পাচারকারীদের খুঁজে বের করা হবে। মাদক মামলা দিয়ে তাকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ইয়াবা পাচার কছে। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ও চালকসহ একটি চক্র মাদক ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।

টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গ্রেফতার আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।