যৌতুক মামলায় কারাগারে সিআইডির এসআই

যৌতুক মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠুন রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন খুলনার আদালত। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। এরপর খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক দিলরুবা আক্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ড. মো. জাকির হোসেন জানান, মিঠুন রায় ঢাকা সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের সাইবার শাখায় কর্মরত। তিনি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বান্দা গ্রামের অমলেন্দু রায়ের ছেলে।

মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন আরও ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অলোকানন্দা দাস। আর আসামিপক্ষে ছিলেন সেলিনা আক্তার পিয়া।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, মিঠুন রায়ের সঙ্গে ২০১৫ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খুলনার বাটিয়াঘাটা উপজেলার দেবিতলা গ্রামের দেবদাস বিশ্বাসের মেয়ে তিথী বিশ্বাসের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে তিথীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন মিঠুন। বিয়ে করে খুলনা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে তিথীকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন। এক পর্যায়ে তিথী গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভপাত করান। পরবর্তীতে মিঠুনকে বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিতে বলেন তিথী। কিন্তু দুই বিঘা জমি, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মিঠুন। পরে তিথীকে নির্যাতন ও মারধর করেন। এ ঘটনার পর তিথী খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য বটিয়াঘাটার নারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু মিঠুন পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করেন। এরপর আদালত তিথী বিশ্বাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালে সরাসরি মামলাটি আমলে নেন এবং মিঠুনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। বুধবার মিঠুন রায় আদালয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মিঠুন রায়ের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠান।

তিনি আরও জানান, মিঠুন রায়ের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি যৌতুক মামলা ও অপরটি পারিবারিক মামলা।