ধরে এনে টাকা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের দুই কর্মকর্তা প্রত্যাহার

চার যুবককে ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রকি মন্ডল ও এএসআই সাহাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাদের দুইজনকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, জীবননগর উপজেলার হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রকি মন্ডল ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসাদহ গ্রামের শরিফুল ইসলাম, সজল, শফি এবং রানা নামের চার যুবককে মাদক সেবনের অভিযোগে আটক করেন। পরে তাদের ফাঁড়িতে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ওই চার যুবককে ছেড়ে দেয় পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এক পর্যায়ে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়। এতে ওই ২০ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে ফেরত দিয়ে যান ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

এরই মধ্যে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়।

জীবননগর থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘হাসাদাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রকি মন্ডল ও এএসআই সাহাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে তাদেরকে প্রত্যাহার করে সেখানে নেওয়া হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পেশাদার পুলিশের ট্রেনিং নিয়ে অপেশাদার কাজ করায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’