নড়াইলে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দিনটি উপলক্ষে রবিবার (১০ অক্টোবর) সকালে নড়াইল জেলা প্রশাসন ও এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এসএম সুলতান স্মৃতি কমপ্লেক্স ও শিশুস্বর্গে কোরআন খানি, শিল্পীর সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, স্মৃতিচারণ, মাজার জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।

জেলা প্রশাসন, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল প্রেসক্লাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মূর্ছনা সংগীত একাডেমিসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সমাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টায় সুলতানের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফখরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এসএম কামরুজ্জামান, সুলতান আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ অনাদী বৈরাগী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি মলয় কুন্ডু, সেক্রেটারি শরফুল আলম লিটু, এসএম সুলতান চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু প্রমুখ।

এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি।

সুলতানের শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু ছিল বাংলার কৃষক, জেলে, তাঁতি কামার, কুমার, মাঠ, নদী, হাওর, বাঁওড়, জঙ্গল, সবুজ প্রান্তর ইত্যাদি। তার ছবি ভারতের সিমলা, পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঢাকায় খ্যাতনামা বিভিন্ন চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।

দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এসএম সুলতান। নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে সমাহিত করা হয়। বরেণ্য এই শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।