যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন মন্ডল ওরফে শান্তি হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ দণ্ডাদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস ও বিস্ফোরক আইনে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিতরা হলেন- শান্তি হোসেন, আব্দুল করিম, লাভলু, আবু জাহিদ মনি, মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, ইব্রাহিদ খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরফে ইদু, মুকুল ও নাসির। এ মামলায় অপর আসামি জেলার সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস ও মশিউর রহমান, উজ্জল হোসেন মৃত হওয়ায় মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গান্না বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মন্ডল শান্তি। পথে কাশিমনগর ব্রিজে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য বোমা হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন পর ১১ জুলাই সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা ও  বিস্ফোরক ধারায় দুইটি মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ১১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথাও ছিলেন। মামলা চলাকালে আটক আসামিদের মধ্যে তিন জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মোট ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য ও দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত সোমবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।