হাসপাতালে একমাস ধরে বন্ধ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা 

আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে এক মাস ধরে রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন রি-এজেন্ট না থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে রয়েছে চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল সংকট। এতে সাধারণ রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে। অবস্থার পরিবর্তন ও মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রি-এজেন্টের অভাবে ১৪ অক্টেবর থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের হরমোন পরীক্ষা, টি ফোর, টি থ্রি, টিএসএইচ, ট্রোপো নাইন, এইচবিএ ওয়ানসি, পিএস, এএইচবিআইসি, সিরাম, ক্রিটেনিন পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে আগে স্বল্প খরচে জরুরিভাবে এসব পরীক্ষা করানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের পাশের বিভিন্ন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার পরীক্ষা করাতে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। 

এদিকে ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে হাসপাতালে স্বামীকে নিয়ে আসা আফরোজা জান্নাত বলেন, হাসপাতালে এসে টিকিট কেটেও স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারিনি। চিকিৎসক না থাকার কারণে টিকিট গ্রহণ করা হয়নি। স্বামী নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কোমড়ে আঘাত পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

মহানগরীর খালিশপুর এলাকার আজমল হোসেন বলেন, বাবা স্ট্রোক করার পর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আবু নাসের হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি, তবে সেখানে কোনও বেড খালি নেই। 

হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. সুকুমার সাহা বলেন, রি-এজেন্টের অভাবে কয়েকটি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। নতুন দরপত্র আহবান না করা পর্যন্ত এসব পরীক্ষা চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সার্বিক বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসক, জনবল সংকট প্রকট। ৪২ জন মেডিক্যাল অফিসারের মধ্যে ১২ জন রয়েছেন। এ কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলানো কঠিন। এছাড়া রি-এজেন্ট না থাকায় প্যাথলজি বিভাগে বিভিন্ন পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।